এবার সাংবাদিক জাহিদুর রহমান তারিকের নেতৃত্বে উপশহর পাড়া উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় ঝিনাইদহ উপশহর পাড়া লকডাউন

প্রকাশিত : ৮ এপ্রিল ২০২০

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ: করোনা ভাইরাস আতংকে একে একে সেচ্ছায় লকডাউন হচ্ছে ঝিনাইদহে এখন ঝিনাইদহ জেলায় এখন লকডাউনের হিড়িক পড়ে গেছে। শহর ও গ্রামের তরুন ও উদ্যোগী যুবকরা নিজেদের প্রয়োজনেই গ্রামে চলাচলা সীমিত করার জন্য রাস্তাঘাটে মানুষ চলাচলা বন্ধ করে দিচ্ছে। এই কাজে প্রশাসন ও চনপ্রতিনিধিরাও সহযোগিতা করছেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে প্রথম ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আনন্দবাগ নামে একটি গ্রাম সেচ্ছায় লকডাউন করে গ্রামবাসি।

এরপর থেকেই কোটচাঁদপুর উপজেলার দয়ারামপুর, ধোপাবিলা গ্রাম লকডাউন হয়। ৭ই এপ্রিল/২০২০২ তারিখ মঙ্গলবার ঝিনাইদহ শহরের উপ-শহরপাড়ায় সাংবাদিক জাহিদুর রহমান তারিকের নেতৃত্বে ও উপশহর পাড়া উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় তরুন যুব সমাজের উদ্যোগে লকডাউন করা হয়। উপশহরপাড়ায় প্রবেশ করা সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কারো ঘর থেকে বের হতে বারণ করা হচ্ছে।

এ তথ্য জানান, উপশহরপাড়া লকডাউন সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর হোসেন, উত্তম গাঙ্গুলী, সাইফুল,সুলতান, সাংবাদিক জাহিদুর রহমান তারিক ও হাবিব চৌধুরী,প্রতিক, কামাল, জাহিদ। এসব লকডাউন এলাকায় ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৩টি গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছায় লকডাউন করেছে তাদের নিজ নিজ গ্রাম। গ্রামগুলো হলো উপজেলার ধলরাহচন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুর, সুবিদ্দাহ ও ভেড়া ভাউটিয়া গ্রাম।

জেলার আরো অনেক গ্রাম একে একে সেচ্ছায় লকডাউন করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। লকডাউন করা গ্রামগুলোতে বসবাসকারী হতদরিদ্র মানুষগুলো খাবার সংকটে পড়তে পারে বলে অনেকে আশংকা করছেন। সেচ্ছা লকডাউন হওয়া প্রসঙ্গে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম জানান, নিজে ও পরিবার বাঁচাতে এই উদ্যোগে খুবই ভাল একটা দিক। মানুষ যে সচেতন হচ্ছে এটাই তার বড় প্রমান।

 

আপনার মতামত লিখুন :