ভেদরগঞ্জে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রশাসন  কাজ করে যাচ্ছে

প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল ২০২০

মোঃ ওমর ফারুক,শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি: করোনাভাইরাস ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে শরীয়তপুরে। বর্তমানে আতঙ্কের নাম করোনা। যার সংক্রমণ ঠেকাতে দোকানপাট নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খোলার অনুমতি প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ। তিনি একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, হুবুহুব তুলে ধরা হচ্ছে ;

জরুরী ঘোষণা : 

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ কিংবা করোনা ভাইরাস সংক্রমিত  হয়েছে এমন কোন জেলা হতে আগত সকল ব্যক্তিকে আবশ্যিকভাবে ১৪ (চৌদ্দ) দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে( নিজ গৃহে অবস্থান) থাকার জন্য বলা হলো।ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে গঠিত করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে গঠিত কমিটি কে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য ভেদরগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের প্রতি সবিনয় অনুরোধ জ্ঞাপন করা হলো।”

এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করছেন।তার মধ্যে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজলার রামভদ্রপুর ও কার্তিকপুর বাজারে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব শংকর চন্দ্র বৈদ্যের নেতৃত্বে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় গত বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ মোবাইল কোর্ট ও জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

এ সময় রামভদ্রপুর ও কার্তিকপুর বাজারে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় এবং অপ্রয়োজনে বাজারে সমাগম করায় ৪ জনকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় এবং অপ্রয়োজনে বাজারে সমাগম করার তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে। তবে ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ বলেন, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় এখনো কোন করোনা রোগী সনাক্ত হয়। তারপরও আমরা সর্বদা তৎপর আছি। আমাদের পুলিশ প্রশাসন সর্বদা মনিটরিং করছেন। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অত্র উপজেলায় করোনা ভাইরাস জনিত প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সকল ধরনের দোকানপাট (কিছু ব্যতিক্রম ব্যতীত) পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে।

শুধুমাত্র কাঁচা বাজার এবং ফলের দোকান সকাল ১১ টা পর্যন্ত এবং সার, বীজ, খাবারের দোকান(হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং চায়ের দোকান ব্যতীত)   এবং মুদি দোকান বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। বিকেল ৫ টার পর ঔষধের দোকান, হাসপাতাল এবং ডাক্তারের চেম্বার ব্যতীত আর কোন দোকান কোন অবস্থাতেই খোলা রাখা যাবেনা।অহেতুক কেউ নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব ভংগ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।বাজার বা দোকানে কেউ ভিড় করলে এখন থেকে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে।এ নির্দেশ কেউ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :