কুয়াকাটায় মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের খাবার তুলে দিচ্ছেন “জন্মভূমি কুয়াকাটা গ্রুপ”

প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল ২০২০

কুয়াকাটা নিউজ ডেস্ক: দীর্গ ১০ মাস ধরে সপ্তাহে ১ দিন করে প্রতি (শুক্রবার) খাবার বিরত করে আসছে জন্মভূমি কুয়াকাটা গ্রুপ। কিন্তু লকডাউনের শুরু থেকে কুয়াকাটায় ২০/২৫ জন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের মুখে দুই বেলা খাবার তুলে দেয়া সংগঠন ‘জন্মভূমি কুয়াকাটা’এখন নিজেরাই আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন। যদিও ভারসাম্যহীন এ প্রতিবন্ধী মানুষগুলোর এখন পর্যন্ত মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে সংগঠনটি।

সংগঠনের ১০ জন হৃদয়বান যুবক জানান, তারাও লকডাউনে পুরোপুরি কর্মহীন, সম্পূর্ণ বেকার রয়েছেন। কুয়াকাটার বীচে কিংবা রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো, ভবঘুরে মানুষগুলো খাবার পেত কুয়াকাটার বিভিন্ন খাবার হোটেল-রেস্তরাসহ ওখানে আসা পর্যটকের সহায়তায়। লকডাউনের ২৭ মার্চ থেকে তা বন্ধ হয়ে গেছে। এরপর থেকে খাবারের যোগান দিয়ে আসছে জন্মভূমি কুয়াকাটা সংগঠন। কিন্তু এরাও বেকার থাকায় সহায়তার হাত সংকুচিত হয়ে আসছে। অসহায় ওই মানুষগুলোর খাবার সহায়তার ধারা অব্যাহত রাখতে তাঁরাও এবার বিত্তবানদের বাড়িয়ে দেয়া হাতের সহায়তা চাইলেন।

বাচ্চু খলিফা জানান, আমাদের সংগঠনের ট্যুরিজম সম্পর্কিত ছোট্ট ব্যবসা, তা এক মাসের বেশি সময় সম্পূর্ণ বন্ধ। তারপরও ধার দেনা করে নিজের সংসারের যোগানের পরে এই মানুষ কয়টার পেটের খাবারের যোগান ধরে রেখেছি। কিন্তু এখন আর চলছে না। তারপরও চালিয়ে যাচ্ছেন। সারা বিশ্বে যখন করোনার আঘাতে মানবজাতি দিশেহারা; বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। নিজেকে, পরিবারকে রক্ষায় সবাই তটস্থ সর্বদা। তারপরও নিজেরা সতর্ক থেকে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মানবিক এই কাজে অংশগ্রহণ করায় জন্মভূমি কুয়াকাটাকে সাধুবাদ জানায় সমাজের সকল মানুষ। কিন্তু এখন আর চলছে না তাদের এই মহতি উদ্যোগ।

এদের একজন গুরুপ অ্যাডমিন বাচ্চু খলিফা কুয়াকাটা নিউজ কে আরো বলেন, এখন প্রতি দিন ২ বেলা খাবার দেয়া লাগে টাকায় ম্যানেচ করতে খুব সমস্যা হয়। আমরা কয় একজন মানুষ অনুদান দিলে চালাই, আর এখন তো সবাই বেকার তাই টাকা ম্যানেজ করতে একটু সমস্যা হয়, যদি কোনো স্যার আমাদের  সহযোগীতা করতো তাহলে ভালো হতো অনুদান পেলে পাগল গুলোকে ভালো ভাবে খাওয়ানো যেত আর বর্তমানে ৩০ টার মতো কুকুর আছে অবস্থা খুব খারাপ ওদেরও খাবার দেয়া জরুরি।

 

আপনার মতামত লিখুন :