বাগেরহাটে ইটভাটা করাত কলের দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

প্রকাশিত : ২ মে ২০২০

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির. সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট: সরকারি নিয়ম-নীতি বা আইনের তোয়াক্কা না করেই বাগেরহাটের শরনখোলায় করাত কল সহ অবৈধ একটি ইট-ভাটার এক ব্যাবসায়ীর দাপটে একটি গ্রামের একাধিক পরিবার অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে । উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছিয়া (ছয়ঘর) এলাকার দু- প্রবাসী সহ স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা এমন অভিযোগ করেন ।

অভিযোগে তারা দাবী করেন, একই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুর রশিদ খানের ছেলে মোঃ আসাদ খান কয়েক বছর পুর্বে একটি অবৈধ করাত কল স্থাপন করে তাতে রাত দিন কাঠ চেরাই অব্যাহত রেখেছেন । ওই করাতকল (স-মিলটি) ঘনবসতি পুর্ন এলাকা সহ তাদের বসত বাড়ি ঘেষে স্থাপন করায় বিকট শব্দ দুষন ও কাঠের পচাঁ গন্ধে তাদের দৈনন্দীন জীবনে দিন দিন ভোগান্তি বৃদ্বি পাচ্ছে। এছাড়াও ওই ব্যাবসায়ী বসত বাড়ি ঘেষেকৃষি জমি দখল করে কয়েক বছর ধরে একটি অবৈধ ইটের ভাটা স্থাপন করে ইট পোড়ানোর ফলে তার কালো ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ দিন দিন দুষিত হচ্ছে । যার ধারাবাহিকতায় চলতি বছরেও পুনরায় ভাটা স্থাপন করেছেন । ওই ইট পোড়ানোর

জন্য ইতোমধ্যে সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছেন তিনি । নাম প্রকাশ না করার শর্তে, ওই এলাকার এক সমাজ সেবক জানান , ব্যাবসায়ী আসাদ খানের ধারাবাহিক নির্যানের ফলে এলাকাবাসী এখন অনেকটা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে । আইন কানুনের কোন তোয়াক্কা না করে আসাদ বছরের পর বছর এলাকায় বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ড চালালেও তার বিরুদ্বে কেউ পদক্ষেপ নিচ্ছেন না । এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ডালিম শিকদার বলেন ,করাত কলে বেশি ক্ষতি না হলেও ইট-ভাটার কালো ধোঁয়া জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর । তবে,উপজেলার সকল অবৈধ ভাটা মালিকদের বিরুদ্বে প্রসাশনের মৌসুমের শুরুতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত । তবে, ব্যাবসায়ী আসাদ খান বলেন, করাত কল ও ইট -ভাটা ব্যাবসা দুটোই বে-আইনী তা আমি জানি ।

তবে, অনেক টাকা দেনাগ্রস্থ থাকার কারনে কাঠ চেরাইয়ের ব্যাবসা শুরু করেছিলাম কিন্তু এলাকায় একাধিক (স-মিল) করাতকল স্থাপিত হওয়ায় তাতেও তেমন লাভ নাই এবং নিজেদের মসজিদের জন্য কিছু ইট পোড়াতে চেয়েছিলাম। তবে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় তা মনে হয় এ বছর আর হচ্ছে না । এছাড়া দেনার টাকা পরিশোধ করতে পারলে মানুষ কষ্ট পায় এমন ব্যাবসা আর করব না বলে নিয়াত করেছি । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্থফা শাহিন জানান , ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :