দশমিনায় মুগ ডালের বাম্পার ফলন, শঙ্কায় চাষীরা

প্রকাশিত : ১২ মে ২০২০

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় মুগডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিপনন ব্যবস্থা ভালো না থাকায় লোকসানের মুখে পড়বে বলে জানান চাষীরা। দ্রæত তারা সরকারের কাছে ভালো বিপনন ব্যবস্থা ও ডাল সংরক্ষণের দাবী জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলায় এবছর মুগডালের লক্ষমাত্রা ছিল ১১হাজার হেক্টর। আর চাষ হয়েছে ১২হাজার ৪শ” ২০ হেক্টর। গতবছরের তুলনায় প্রায় ৫শ” হেক্টর বেশিহয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিস। এ বছর মুগ ডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা ডাল তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বাজারে ডালের দামও একটু কম আর প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে যোগাগোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় চাষীদের ডাল বিপননে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া ক্রেতা সংঙ্কটে চাষীরা ডাল বিক্রি করতে পারছে না। ফলে বিপাকে পরেছেন তারা। চাষীরা সরকারের কাছে বিপনন ব্যবস্থা ও ডাল সংরক্ষনের দাবী জানিয়েছেন।

উপজেলার বহরমপুর গ্রামের কৃষক মোঃ ইউনুছ তালুকদার, আলতাব হোসেন, রেজাউল, এ প্রতিনিধিকে বলেন, চলতি বছর ব্যাপক জমিতে মুগ ডাল চাষ করেছি। ফলন ভালোই হয়েছে। সরকারের কাছে দ্রæত ডাল সংরক্ষনের দাবী জানাই। বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দাস পাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর মৃধা, জামাল মৃধা, হেল্লাল উদ্দিনও বলেন,আমরা এবার বেশি মুখ ডাইল চাষ করছি। ডাইল ভালোই অইছে কিন্তু ব্যাচতে পারছি না দাম কম বলে। করোনা ভাইরাসের কারনে ডাল নিয়ে বাজারে যেতে পারছি না। ফলে বিক্রি করতে সমস্যা হচ্ছে। দ্রæত সরকারকে ডাল সংরক্ষণের দাবী জানাই।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. বনি আমিন খান বলেন, মুগডালের বাম্পার ফলন হয়েছে কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিপনন ব্যবস্থা ভালো না থাকায় কৃষকরা ডাল বিক্রি করতে পারছে না। এতে কৃষকের একটু সমস্যা হচ্ছে । ডাল সংরক্ষণের ভালো ব্যবস্থা থাকলে কৃষকরা উপকৃত হতো এবং তাদের বর্তমান ক্ষতিটা পুষিয়ে উঠতে পারতো। তিনি আরও বলেন, মুগডালের লক্ষমাত্রার চেয়ে এবছর বেশি অর্জিত এবং ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু ক্রেতা সংঙ্কটে চাষীরা ডাল বিক্রি করতে সমস্যা হচ্ছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :