ঝালকাঠিতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত : ২২ মে ২০২০

রহিম রেজা, ঝালকাঠি থেকে: ঝালকাঠির রাজাপুরের শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা মোঃ কুদ্দুস হোসেনের বিরুদ্ধে তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুনা লায়লাকে হত্যার অভিযোগ নিহতের পরিবার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য মোঃ কুদ্দুস হোসেনের ঘর থেকে ২ সন্তারের জননী ওই নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

রুনা লায়লা উপজেলার নাপিতেরহাট গ্রামের আমির হোসেন গাজির মেয়ে এবং ইউপি সদস্য মোঃ কুদ্দুস হোসেন নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের মজিবর হোসেনের ছেলে। রুনা লায়লার বাবা আমির হোসেন গাজির আিভযোগ করেন, তার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর থেকেই নানাভাবে মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো জামাতা কুদ্দুস।

এ নিয়ে কয়েক বার রাগ করে তার মেয়ে রুনা লায়লা বাবার বাড়িতে চলে গিয়েছিলো এবং শালিশ মিসাংসাও হয়েছিলো। রুনা লায়লার বড় ভাই মিজান গাজির কাছ থেকে নির্বাচনের সময় টাকা ধার নিয়েছিলো, ওই টাকা ফেরৎ চাইলেই কুদ্দুস তার স্ত্রী রুনা লায়লাকে মারধর করতো। এসব ঘটনার জের ধরে বিকেলে তার মেয়েকে হত্যা করেছে, অভিযোগ রুনা লায়লার বাবা আমির হোসেন গাজির।

রাজাপুর থানার ওসি মোঃ জাহিদ হোসেন জানান, বিকেলে রুনা লায়লা বাড়ি যেতে চাইলে এ নিয়ে বাকবিতন্ডাও হয়েছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, পারিবারিক এসব কলহের জের ধরে রুনা লায়লা আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি, তবে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :