মহিপুরের কাঠের পুল ভেঙ্গে তিন ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত : ৮ জুলাই ২০২০

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ও চরপাড়ার ভাড়ানির খালের উপর নির্মিত কাঠের পুলটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের ধাক্কায় গত সোমবার বিকেলে ভেঙ্গে পড়ে যায়। এই কাঠের পুল দিয়ে ডালবুগঞ্জ,মিঠাগঞ্জ ও মহিপুর ইউনিয়নের প্রায় ১০হাজার মানুষ চলাচল করে। কাঠের পুলটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে এ পথে চলাচলকারী ৩ ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কাঠের পুল সংলগ্ন রসুলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই কাঠের পুল দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। কাঠের পুল ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে ঝুঁকি নিয়ে ছোট্র ডিঙি নৌকায় এপার থেকে ওপারে যাচ্ছে কোমলমতি শিশু,নারী,বয়বৃদ্ধসহ হাজারো মানুষ। স্থানীয়দের দাবী ভেঙ্গে যাওয়া কাঠের পুলটি অপসারন করে এখানে একটি স্থায়ী গার্ডার ব্রীজ নির্মানের।

ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাচ্চু বলেন, ৬জুলাই (সোমবার) বিকেলে একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের ধাক্কায় ব্রীজটি ধুমরে মুচড়ে পরে যায়। এমন ভাবে ভেঙ্গে পরে যায় যা সংস্কার করা সম্ভব নয়। ডালবুগঞ্জ,মিঠাগঞ্জ ও মহিপুর এই তিন ইউনিয়নের প্রতিদিন প্রায় ১০হাজার মানুষ কাঠের পুল দিয়ে চলাচল করে। ভাড়ানির খাল সংলগ্ন রসুলপুর গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এই কাঠের পুল দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া আসা করে। ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। চরম দূর্ভোগে তিন ইউনিয়নের মানুষ। মিজানুর রহমান বাচ্চু আরো বলেন, ভাড়ানির খালের উপর স্থায়ী ভাবে একটি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন। তাই তিনি সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সূ-দৃষ্টি কামনা করছেন।

ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সিকদার বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি। রসুলপুর সরকারী পাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র / ছাত্রী পারাপার হয় এই কাঠের পুল দিয়ে। এছাড়া ডালবুগঞ্জ ও মিঠাগঞ্জ ও মহিপুর এ তিন ইউনিয়নের শতশত জনগণ আসা যাওয়া করে। তাই এখানে একটি গার্ডার ব্রীজ প্রয়োজন। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি ওখানে এলজিইডি অথবা পি আই অফিসের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ব্রীজের ব্যাবস্থা করতে হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :