পরিকল্পিত ভাবে ছেলেকে হত্যার অভিযোগ টাকা লাগবেনা, বাবা তুই ফিরে আয়

প্রকাশিত : ৮ জুলাই ২০২০

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার: মাজরার ভিসা দিয়ে সৈৗদি আরব রাষ্ট্রে পাঠিয়ে এক পাকিস্থানী কোম্পানীর সাবল গাড়ী (মাটি কাটার গাড়ী) দিয়ে রাজনগর উপজেলার ৬নং টেংরা ইউনিয়নের ডেফলউড়া গ্রামের মোঃ আনিছ মিয়ার পুত্র কামরুল ইসলাম (পাসপোর্ট নং- BW-0699089) কে ড্রাইভিং জানা না স্বত্বেও তাকে গাড়ীর চালক সাজিয়ে গাড়ী উল্টাইয়া গাড়ীর নীচে চাপা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে, একই উপজেলার ৩নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বালিগাঁও গ্রামের ইসনাত মিয়া (৪১) ও উক্ত কোম্পানীর কফিলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত কামরুল ইসলাম এর পিতা মোঃ আনিছ মিয়া ও তার নিকট আন্তীয়রা।

এ ঘঠনায় সৈৗদি আরবে অবস্থানরত ভিসার দালাল ইসনাত মিয়া (৪১), তাদের সহযোগী ৬নং টেংরা ইউনিয়নের মৃত আব্দুর রহিম এর পুত্র আকলিছ মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৪৫)গংদের অভিযুক্ত করে রাজনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ সংবাদ পরিবেশন পর্যন্ত পুলিশ কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে- বিগত ২৫/১১/২০১৯ইং কামরুল ইসলামকে সৌদি আরব ( জেদ্দা) জোরপূর্বক ভাবে মাঠি কাঠার গাড়ীতে তুলে পরিকল্পিত ভাবে তাকে চালক সাজিয়ে গাড়ীর নিচে চাঁপা দিয়ে হত্যা করা হয়। কামরুল সড়ক দুর্ঘটনায় মুত্যুবরণ করেছে মর্মে ঘঠনার ৯দিন পর সংবাদ পাঠায় সেখানে কর্মরত দালাল ইসনাত মিয়া। এবং কামরুলের পরিবারকে আরো জানায় বিষয়টি নিয়ে তাড়া হুড়া না করার জন্য।

সেখানে সে নিহত কামরুলের লাশ আটকিয়ে রেখে কফিলের কাছ থেকে বড় অংকের ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা আদায় করবে। পরবর্তীতে অভিযোগ উঠে “দালাল ইসনাত” কামরুলের পরিবারকে না জানিয়ে এ ঘঠনায় কোন মামলার আশ্রয় না নিয়ে কফিলের কাছ থেকে বাংলাদেশী টাকায় নগদ ৩০,০০০০/ ত্রিশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ আদায় করে। কফিলের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ আদায়কৃত টাকা সৌদি আরকে কর্মরত ভিসার দালাল ইসনাত মিয়া, পাসপোর্ট (নং- BH-0292824) টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেছেন। ক্ষতিপূরণ বাবদ উত্তোলনপূর্বক টাকা আত্মসাৎ এ কাজে সহযোগীতা করেছেন- ৬নং টেংরা ইউনিয়নের মৃত আব্দুর রহিম এর পুত্র আকলিছ মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৪৫)গংরা। কিন্তু, কফিলের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ আদায়কৃত টাকা নিহত কামরুলের পরিবারকে দেওয়া হয়নি। মুত্যুর পূর্বে সেখানে কফিলের কাছে ৪,৬০০ সৌদি রিয়াল পাওনা ছিল,যাহা বাংলাদেশী টাকায় ১,০৩৩৭৫/- টাকা।

অপরদিকে, সেখানে নিহত কামরুলে লাশ বিগত ০৪/০২/২০২০ইং বাংলাদেশে আসে। এবং ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ড, প্রবাসী কল্যাণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট হইতে মৃতদেহ গ্রহণ করেন। এবং মৃত্যু জনিত ক্ষতিপূরণ/ বকেয়া পাওনা ও ইন্সেুরেন্স এবং আর্থিক অনুদানের চেক পাওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করেন।নিহত কামরুলের পিতা মোঃ আনিছ মিয়া আরো জানান- কামরুলকে মাজরা ভিসা দিয়ে বিদেশে নেওয়ার জন্য বিগত ২৮/০৬/২০১৮ইং সকালে বাংলাদেশে অবস্থানরত আকলিছ মিয়া ( ইসনাত এর শশুরে) গংদের ঘরে বসে ২ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা সাব্যস্থক্রমে নগদ ২ লক্ষ টাকা তাদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে, আকলিছ মিয়া জানান- বিদেশে নিতে হলে আরো ১০৭০০০০/- টাকা দিতে হবে। তার দাবীর প্রেক্ষিতে সকল টাকা পরিশোধ করলে কামরুলকে বিদেশ পাঠায়। সেখানে প্রায় দীর্ঘদিন কামরুলের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়নি দালাল ইসনাত। এ ব্যপারে জানতে চাইলে ঘঠনার সত্যতা স্বীকার করে রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসেম বলেন- যেহেতু, ভিসার দালাল ইসনাত বিদেশে, তাই তার বিরুদ্ধে যতাযত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা একটু কঠিন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশে এ কাজে যারা সহযোগীতা করেছে তাদেরকে জিঙ্গাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক।

 

আপনার মতামত লিখুন :