পটুয়াখালীতে বৃষ্টি-জোয়ারে ফসলের ক্ষতি ৬ কোটি টাকারও বেশি

প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট ২০২০

টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি ও জোয়ারে বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের পানিতে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকরা। ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে আর ঘেরের মাছ ভেসে যাওয়ায় জেলায় প্রায় ৬ কেটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। জোয়ারে পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে আমন ও আউশের বীজতলা, বেশি ক্ষতি হয়েছে শাকসবজিতে। অবশ্য ক্ষতিগ্রস্তকৃষকদের সহয়াতা দেয়ার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

বন্যা ও জোয়ারের পর নদীগুলোতে কমেছে পানির চাপ। এ মুহূর্তে বাঁধ মেরামতের সুযোগ থাকলেও দেখা নেই জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তাই এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগেই নিজেদের রক্ষার্থে নদীতে বেড়িবাধ মেরামত করছেন। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা জানান, প্রতিবারই জোয়ারের পানি প্রবেশ শুরু করলে স্রোতের মুখে মাটির বস্তা ফেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যা কোন কাজেই আসছে না। গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টি ও প্রবল জোয়ারে বেশি লোকসানের মুখে পড়েছে পটুয়াখালী সদর উপজেলার পায়রা নদীপাড়ে থাকা কৃষকরা।

নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ রাস্তা এবং বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বাড়িঘর ডুবে যায়। ভেসে গেছে অনেক চাষীর ৪শত ৩২টি মাছের ঘের। জেলায় আমনের বীজতলা ৩৫ হেক্টর, ৩শত হেক্টর জায়গার রোপা-আমন, বিভিন্ন ধরনের সবজি প্রায় ২শত এর বেশি। এছাড়া পানের বরজ, পেঁপে বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ৬ কোাটি টাকার বেশি বলে জেলা কৃষি বিভাগ জানায়। পানিতে বীজসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা। তবে কোন জনপ্রতিনিধি তাদের কোন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দেয়ার ক্ষোভ জানান তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত বলেন, আমরা ক্ষয়ক্ষতির একটি তালিকা পাঠিয়েছি। আশা করি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদণার মাধ্যমে সহযোগিতা করা যাবে। এ মাসের ১৬ থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত একনাগারে বৃষ্টি ও জোয়ারের ফলে কিছু কিছু ফসলেরর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমনের বীজতলার আংশিক ক্ষতি হয়েছে, তবে প্রায় ৯ শতাংশ শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি ৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। আমরা যাতে কৃষককে প্রণোদনোর মাধ্যমে কৃষককে সাহায্য করতে পারি সেজন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

জেলায় এ বছর মোট ধানসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ হয়েছে একলাখ ৬৪ হাজার হেক্টর জমিতে। বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করায় ক্ষতি হয়েছে ৫শ হেক্টরের বেশি ফসলি জমিতে।

আপনার মতামত লিখুন :