পাটকেলঘাটায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত : ২৬ অক্টোবর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার:
তালা উপজেলার পাটকেল ঘাটা থানাধীন সুরুলিয়া কিয়ামিয়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওঃ আব্দুর রব এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতি ও নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

তথ্য সংগ্রহের সময় জানাযায়, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওঃ আব্দুর রব ১৯৮১ সালে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতি ও ম্যানেজিং কমিটি উপর অশুভ প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে সম্পূর্ন বিধি বহিঃভূত ভাবে নতুন নতুন শিক্ষক নিয়োগ ও উপর্যুক্ত কোন কারন ছাড়াই নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাময়িক বরখাস্ত সহ নিয়োগ বানিজ্য করে আসছে।

এব্যাপারে উক্ত মাদ্রাসার নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রধান শিক্ষকের ভয়ে কোন কিছুই বলতে রাজি না। প্রধান শিক্ষক মাওঃ আব্দুর রব এর বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসা এলাকার স্থানীয়রা সত্যতা শিকার করেছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, মাদ্রাসায় আনিছুর রহমান লাইব্রেলিয়ান নামে এক শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগ পাওয়া আনিছুর রহমানকে নিয়োগ পেতে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওঃ আব্দুর রবকে দিতে হয়েছে ৪ লাখ টাকা। এমন অনেক কে মাদ্রাসায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করতে থাকে প্রধান শিক্ষক মাওঃ আব্দুর রব।অনেকে ভয়ে কোন কিছুই বলতে সাহস পায় না। শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে যে টাকা নেওয়া হয়েছে তা মাদ্রাসার উন্নয়নের কাজে লাগানো হয়নি। নিয়োগের টাকা নিজের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করছেন। এ মাদ্রাসায় শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ পেতে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়েছে প্রধান শিক্ষক মাওঃ আব্দুর রবকে। নিয়োগের কোন টাকার হিসাব নেই বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসার শিক্ষকরা।

শিক্ষক নিয়োগ দিতে যে টাকা নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওঃ আব্দুর রব এর কাছে সত্যেতা জানতে মাদ্রাসার জমিদাতা হাজী কিয়ামুদ্দীন সর্দার ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতার ছেলে মোঃ ইমরান সর্দার গেলে তিনি বলেন আমার কাছে সব মিলে ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা রয়েছে। টাকা গুলো আমার ব্যক্তিগত ফাউন্ডে আছে। অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখে মাদ্রাসা কমিটি ও গ্রামবাসীর সামনে সকল হিসাব তুলে ধরবো বলে তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি বার বার এবিষয়ে এড়িয়ে চলছেন। তার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন কেটে ধরেন না। তিনি ১৭ তারিখ থেকে তিনি পলাতক রয়েছে।

মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতার ছেলে মোঃ ইমরান সর্দার বলেন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে এসকল অভিযোগের কথা আমাদের বলার পর বিষয়টি নিয়ে আমি প্রধান শিক্ষক মাওঃ আব্দুর রবকে জানিয়েছি। ঘটনা জানানোর পর স্থানী সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও জীবননাশের হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক বলে মাদ্রাসার জমিদাতা আমরা না। জমির কোন কাগজপত্র নেই এমনটায় বলতে শুরু করে তিনি। পরে আমরা জমির কাগজ-পত্র তুলে দেখি সব জমিদাতা হিসেবে আমরা রয়েছি। প্রধান শিক্ষক নিজের দূনীতি ঢাকবার কারণে মিথ্যা বানোয়াট কথা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসায় হাজির হন না বলে জানিয়েছেন সহ-সুপার।

এসব বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মাওঃ আব্দুর রব এর সাথে যোগাযোগ করতে তার মুঠোফোনে কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিছিব করেনি।

আপনার মতামত লিখুন :