কিন্ডারগার্টেন স্কুল মালিকদের সহজ শর্তে ঋণের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত : ১৫ জুলাই ২০২০

বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে ১৫ জুলাই রোজ বুধবার সকাল ১০ ঘটিকায় ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি- জনাব এম এ সিদ্দিক মিয়া এর সভাপতিত্বে আজকের এই মানববন্ধন। মানববন্ধনে দাবি দাওয়া উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক সমিতির মহাসচিব শেখ মিজানুর রহমান।

বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি জনাব আলহাজ্জ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী, প্রধান পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক সমিতি, বিশেষ অতিথি জনাব জি.এইচ ফারুক, উপদেষ্টা: বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা সমিতি, জনাব মোঃ আব্দুল রাকিব ভূঁইয়া (ভূঁইয়া বাবু) সভাপতি গভার্নিং বডি, হাজী আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, জনাব সিদ্দিকুর রহমান, সভাপতি- বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ- কেন্দ্রীয় কমিটি, জনাব মো. মজিবুর রহমান, সভাপতি- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল মালিক পরিষদ, জনাব সালেহ আহমেদ, মহাসচিব- রূপগঞ্জ উপজেলা কিন্ডারগার্টেন ও শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি, এডভোকেট মো. আল আমিন ভূঁইয়া, সভাপতি, মাস্ট এডুকেশন ফোরাম, জনাব গোলাম কিবরিয়া, মহাসচিব, বাংলাদেশ নিউ চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন, খান মোজাম্মেল হক মিঠু, যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক সমিতি, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনাব এম এ তুহিন, যুগ্ম মহাসচিব- বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা সমিতি।

বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পুরো বিশ্বের মত আমরা ও দিশেহারা এ জন্য দেশের অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থার মত কিন্ডারগার্টেন স্কুল গুলো অবস্থা ও শোচনীয়। গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরমত বেসরকারি উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়ন প্রতিষ্ঠিত প্রায় ৬৫ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে আছে। বর্তমানে দেশে কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ১ কোটির অধিক কোমলমতি শিশু কিশোর শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ১০ লক্ষাধিক শিক্ষক শিক্ষিকা কর্মচারী কর্মরত আছেন এর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে তাদের পরিবারবর্গ।

করোনা ভাইরাস মোকাবেলা স্কুল বন্ধ শিক্ষক শিক্ষিকা লকডাউনের কারনে প্রাইভেট টিউশন করতে পারছেনা। প্রায় ৯৫% শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত। বাড়ি ভাড়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন, বিদ্যুৎ ও পানি বিল পরিশোধ করতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক টিউশন ফি থেকে। স্কুল বন্ধ থাকার কারনে অর্থনৈতিকভাবে নিদারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছে। কোন শিক্ষক না পারে কারো কাছে হাত পাততে না পারে লাইনে দাঁড়িয়ে সাহায্যে নিতে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রনোদনায় কিন্ডারগার্টেনগুলোকে অন্তর্ভুক্তি করনের দাবি করে আসছে।

বাংলাদেশ বেসকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে প্রনোদনার দাবিতে ১৪/০৫/২০২০ইং তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করা হয়েছে। শিক্ষকদের মানবিক সাহায্যের জন্য ০৩/০৫/২০২০ইং তারিখে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছেও আবেদন করা হয়েছে। ০৬/০৬/২০২০ তারিখে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিট (সাগর-রুনী মিলনায়তনে) সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষকদের দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়েছে। কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো কখনোই কোন সরকারী অনুদান পায়না এবং পাওয়ার জন্য আবেদনও করেন নাই। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুলসমূহ বন্ধ থাকাতে শিক্ষক- শিক্ষিকদের অবস্থা শোচনীয় বিধায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন সেক্টরে ও প্রতিষ্ঠানে যে আর্থিক প্রণোদনা এবং সহযোগিতায় হাত প্রসারিত করেছেন তেমনি আমরা বিশ্বাসকরি আজ চরম দুর্দিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকদের পাশে থাকবেন। আমাদের জন্য আপনার সহযোগিতা ও সহানুভূতি আজ একান্ত প্রয়োজন। আমাদের দাবি মেনে নিলে আমরা চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।

১. করোনা ভাইরাসের এই দুঃসময়ে উত্তরণে কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাহায্যার্থে প্রনোদনার ব্যবস্থা করণ যা সহজশর্তে ঋণ হিসেবে দেওয়ার আবেদন করছি।
২. কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক শিক্ষিকাও কর্মচারীদের জন্য রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।
৩. কিন্ডারগার্টেন স্কুল সমূহের জন্য অনুদান প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।
৪. করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের হার কমে গেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।
৫. সহজশর্তে- কিন্ডারগার্টেন স্কুলসমূহকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে।
৬. প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার মত নিজ স্কুলের নামে জে.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে।

আপনার মতামত লিখুন :